বিজয়া দশমী উপলক্ষে রাষ্ট্রবাদীদের সাহিত্য সভা হলো মহা উদ্ধারণ মঠে।



স্বচ্ছ বার্তা সুমন কুমার রায়, কোলকাতা - আজ ৪ অক্টোবর, শনিবার,  দ্বাদশী  এই দিনে দুপুর বেলায়, মহানাম সম্প্রদায়ের কাঁকুড়গাছির 'মহা উদ্ধারণ মঠ'-এ; প্রভু জগৎবন্ধু সুন্দর-এর আশ্রমে 'দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির' ও 'স্বদেশী বার্তা সাহিত্য পত্রিকা'র উদ্যোগে একটি সাহিত্য সভার আয়োজন করা হয়েছিল বিজয়া দশমী উপলক্ষে। এদিনের সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন স্বদেশী বার্তা সাহিত্য পত্রিকার প্রকাশক ও সমাজসেবী কৃষ্ণনেন্দু মুখার্জি, পত্রিকা সম্পাদক সৈকত চ্যাটার্জি, মহা উদ্ধারণ মঠের সম্পাদক বন্ধুগৌরব ব্রহ্মচারী মহারাজ, প্রণব কন্যা সঙ্ঘের আত্মস্থানন্দময়ী মাতাজী, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. সোমনাথ সরকার, মহিষাদল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. উৎপল কুমার উত্থাসনী, দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির-এর সম্পাদক মিলন খামারিয়া, দেশের মাটি গোষ্ঠীর উপদেষ্টা ও বিধান চন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. কল্যাণ চক্রবর্তী ও আরও অনেকে।

সভার শুরুতেই উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রমিতি রায়। সভাপতির আসন অলংকৃত করেন সন্ন্যাসিনী আত্মস্থানন্দময়ী মাতাজী, সঞ্চালনা করেন মিলন খামারিয়া।

বন্ধুগৌরব মহারাজ বলেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে দুষ্টের দমন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তার জন্য অস্ত্র ওঠানোর কথা বলেছিলেন। আজ দিকে দিকে অশুভ শক্তি মাথাচারা দিয়ে উঠছে। সুস্থ সাহিত্য-সংস্কৃতি বজায় রাখার জন্য সেই সব দুষ্ট লোকদের দমন করতে হবে।

সমাজসেবী কৃষ্ণনেন্দু মুখার্জি বলেন, সমাজকে ভালো রাখার জন্য আজ ভালো মানের সাহিত্য চর্চা ভীষণ প্রয়োজন। আমরা স্বদেশী বার্তা সাহিত্য পত্রিকার মাধ্যমে আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতির ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করছি। ভুল ইতিহাস পড়ে যাতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আর বিপথে না যায়।

অধ্যাপক সোমনাথ সরকার বলেন, দিকে দিকে এমন সাহিত্য ও সংস্কৃতির চর্চা বেশি করে হোক। সমাজকে ভালো রাখার জন্য সাহিত্য ও সংস্কৃতির ভূমিকা অপরিসীম।

অধ্যাপক ড. উৎপল কুমার উত্থাসনী বলেন, দেশের মাটি কল্যাণ মন্দির ও স্বদেশী বার্তা সাহিত্য পত্রিকার আজকের প্রয়াস ভীষণ প্রশংসনীয়। সমাজকে ভালো রাখার তরে খাদ্য, বস্ত্র দিয়ে যেমন তারা মানুষের জন্য কাজ করছে তেমন সুস্থ সংস্কৃতির জন্য সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা করে চলেছে। ধর্মের সংহতি, বিবর্তন ও অভিযোজন, সাহিত্য-সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং একই সঙ্গে অভিসারী ও অপসারী। সময়ান্তরে এদের এইরকম নানা উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে।

সন্ন্যাসিনী আত্মস্থানন্দময়ী মাতাজী বলেন, জেহাদি শক্তি যেভাবে বেড়ে উঠেছে তাতে আগামী দিনে সুস্থ সংস্কৃতি বজায় রাখা মুস্কিল হবে। এখন আমাদের সংঘবদ্ধ হতে হবে। স্বামী প্রণবানন্দ বলেছিলেন - 'সংঘ শক্তি কুলে যুগে'। সংঘবদ্ধ থাকতে হবে। বিভেদ মুছে প্রতিটি হিন্দুকে ভাই বলে আপন করতে হবে আমাদের।

আজকের সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বরূপানন্দময়ী মাতাজী ও ভজনানন্দময়ী মাতাজী। সঙ্গীত পরিবেশন করেন ছন্দা হালদার, রূপালী বর্মণ। সভার ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সৈকত চ্যাটার্জি ও পূর্ব মেদিনীপুরের মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গৌতম বর্মন। শান্তি মন্ত্র পাঠ করেন যোগা প্রশিক্ষক রূপা চক্রবর্তী।

Comments