, ১৩ সেপ্টেম্বর; গত ৯ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার, পুরুলিয়া জেলার ঝালদা-১ নং ব্লকের কো-অপারেটিভ সেমিনার হলে একদিনের উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মশালার আয়োজন করল MSME-DFO, দুর্গাপুর শাখার ব্রাঞ্চ ইনচার্জ রাজর্ষি মাজী। এই সভায় মুখ্য অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ICAR-NISA, ঝাড়খন্ড রাঁচি থেকে সায়েন্টিস্ট ড. জ্যোতির্ময় ঘোষ এবং সিনিয়র সায়েন্টিস্ট ড. উদয় কুমার; পুরুলিয়া জেলার কে .ভি .আই .ভি.- এর জেলা আধিকারিক পরেশ চন্দ্র পাল, জেলার শিল্প কেন্দ্র থেকে আসেন শংকর নায়ক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অফিসার বুদ্ধদেব মাহাতো, পি.এন.বি. - ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মনোজ কুমার।
সমস্ত অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন সমাজ বিজ্ঞানী ড. তাপস কুমার দে। উনি ওনার বক্তব্যে কী কী ভাবে একজন সফল ব্যবসায়ী হওয়া যায়; ব্যবসা করার জন্য কী কী ডকুমেন্টস লাগে, কী কী লাইসেন্স করতে হবে? প্রজেক্ট, ফান্ড, মার্কেট ইত্যাদি নানাবিধ তথ্য শেয়ার করেন।
রাজর্ষি মাজী নিম, মহুয়া, লাক্ষা, করঞ্জা এই সকল স্থানীয় প্রকৃতিগত ফসল চাষ করে কীভাবে উদ্যোগপতি হওয়া যায়, এই সব ফসল চাষ করার জন্য কী কী সুযোগ-সুবিধা সরকারের পক্ষ থেকে রয়েছে - এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ICAR-NISA, ঝাড়খণ্ড বহু বছর ধরে ঝাড়খণ্ড রাজ্য এবং পুরুলিয়া জেলার কিছু অঞ্চলে লাক্ষা চাষ এবং প্রাকৃতিক পণ্য উন্নয়নের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে, চাষের উন্নয়নের জন্য কাজ করছে।
দুর্গাপুরের MSME-DFO অফিস - পুরুলিয়া জেলার লাক্ষা, নিম, মহুয়া এবং করঞ্জা ইত্যাদি ক্লাস্টারের সাথে জড়িত মানুষদের উন্নয়নের জন্য তাদের সাথে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেছে ও তাদের সামগ্রীক উন্নয়নের জন্য সর্বোপরি লক্ষমাত্রা ধার্য করেছে।
উপস্থিত ছিলেন সফল ব্যবসায়ী জয়দেব মাহাতো ,চেয়ারম্যান (জে.এল.সি)। তিনি বলেন, আমি ১৯৯৪ সাল থেকে ঝালদায় লাক্ষা চাষ করছি। পুরুলিয়া জেলার বাণিজ্যিক ফসল হল মূলত লাক্ষা। এখানকার পরিবেশ লাক্ষা চাষের উপযোগী। আগে এখানে চাষিরা তেমন সচেতন ছিলেন না, তবে বর্তমানে সচেতন হচ্ছে ও চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছেন।
দিল্লি থেকে পুসা, মিলেনিয়াম ফার্মার ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে সুপার ফার্মার ইত্যাদি বিভিন্ন পুরস্কার তিনি পেয়েছেন বলেও জানান।
MAME-DFO শাখার ইনচার্জ রাজর্ষি মাজী বলেন, পুরুলিয়া হল প্রাকৃতিক সম্পদের ভান্ডার। কিন্তু মানুষের সচেতনতার অভাবে এই জেলা দেশের অন্যতম পিছিয়ে পরা জেলা। লাক্ষা, নিম, করঞ্জা, মহুয়া, কুসুম ইত্যাদি থেকে বিভিন্ন দ্রব্য তৈরি করা যায়, যার বাজারে ভীষণ চাহিদা রয়েছে। সেই সমস্ত প্রাকৃতিক সম্পদের সঠিক মূল্যায়ন ও ব্যবহার পুরুলিয়া জেলার অর্থনৈতিক চিত্র বদলে দিতে পারে। আমরা চেষ্টা করছি মানুষকে সচেতন করার। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই এই সভার আয়োজন করা হয়েছে।
উপস্থিত উদ্যোগীদের প্রশ্ন-উত্তর পর্বের মধ্যে দিয়ে প্রোগ্রাম শেষ হয়। সকলকে ভোট অফ থ্যাংকস জানান ডক্টর মাহাতো,পুরুলিয়া জেলার কর্ণধার, সেবা আশ্রম বিশ্ব শান্তি ধাম।
Comments
Post a Comment