শুভ কল্যাণ বিশ্বাস, স্বচ্ছ বার্তা, কৃষ্ণগঞ্জ - গতকাল কৃষ্ণগঞ্জ বিধানসভার শিব নিবাস পঞ্চায়েতের শিবনিবাস গ্রামের শিব মন্দিরে মহাদেবের অনুমতি চাইতে গেলেন কৃষ্ণনগরের রানীমা।
রাজা কৃষ্ণচন্দ্র বর্গা দস্যুদের হাত থেকে বাঁচার জন্য কৃষ্ণগঞ্জ থেকে কৃষ্ণনগর পর্যন্ত একটি সুরঙ্গ পথ তৈরি করেছিলেন। সেই পথ দিয়েই তিনি যাতায়াত করতেন। বর্গা দস্যুরা দেবাদিদেব মহাদেব কে খুব ভয় পেতেন। যেখানে শিব মন্দির থাকত এরা সেখানে ডাকাতি করত না। তাইতো রাজা কৃষ্ণচন্দ্র বিভিন্ন জায়গায় শিব মন্দির স্থাপন করে গেছেন। যদিও বর্তমানে সেই সুরঙ্গ পথের আর হদিস নেই।
শিব নিবাসের এই শিব মন্দিরটি সম্ভবত এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবলিঙ্গ।
উল্লেখ থাকে যে কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ীতে নবরাত্রির প্রথম দিন থেকে এটি হোম যজ্ঞ করা হয় মহা অষ্টমী পর্যন্ত। এটা রাজবাড়ীর একটি প্রচলিত প্রথা।
এই শিব নিবাসের শিবলিঙ্গ কে জল দিয়ে মহাদেবের কাছ থেকে মা রাজেশ্বরী কে নিতে আসেন রাজ পরিবারের সদস্যরা। বিগত কয়েক দশক ধরে রাণীমা এই প্রথা অবলম্বন করে আসছেন। এখান থেকে মহাদেবের অনুমতি নিয়ে কৃষ্ণনগর রাজবাড়িতে মা রাজ্যেশ্বরী কে নিয়ে যান পাঁচ দিনের জন্য আরাধনা করতে।
সেই প্রথা অনুযায়ী গতকাল রাণীমা অমৃতা রায় রাজকুমার মনীষ রায়কে সঙ্গে নিয়ে মহাদেবের আরাধনা করে নিজে প্রসাদ গ্রহণ করেন ও স্থানীয় লোকজনদের নিজে হাতে প্রসাদ বিতরণ করেন।
Comments
Post a Comment