মহারাণী অহল্যাবাঈ হোলকারের জন্মের ৩০০ পূর্তি উপলক্ষে মাতৃশক্তিকে আত্মনির্ভরশীল হবার বার্তা দিল ভারতীয় কিষাণ সংঘ
স্বচ্ছ বার্তা,মিলন খামারিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৯ সেপ্টেম্বর। গত ১৪ সেপ্টেম্বর, রবিবার, মাধপুর, RSS ভবন, খড়্গপুর গ্রামীণ, ব্লক-২ এ, ভারতীয় কিষাণ সংঘের পক্ষ থেকে মহারাণী অহল্যাবাঈ হোলকারের জন্মের ৩০০ বছর পূর্তি পালন করা হয়। এ দিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় কিষাণ সংঘের অখিল ভারতীয় কার্যকারিনী সদস্য কল্যাণ কুমার মন্ডল, পশ্চিমবঙ্গ প্রান্তের সভাপতি অনিমেষ পাহাড়ি ও প্রান্তের পূর্ণকালীন কার্যকর্তা গোপেন বেরা।
এদিন শুরুতেই ভারত মাতা, ভগবান বলরাম ও দত্তপন্থ বাপুরাও ঠেংরির ছবিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেন উপস্থিত কার্যকর্তা বৃন্দ।
তারপর কল্যাণ কুমার মন্ডল বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, মহারাণী অহল্যাবাই হোলকার (৩১ মে ১৭২৫ - ১৩ আগস্ট ১৭৯৫) ছিলেন ভারতের মারাঠা মালওয়া রাজ্যের হোলকার রাণী।অহল্যাবাঈ ১৭২৫ সালের ৩১ মে বর্তমান মহারাষ্ট্রের আহমেদনগর জেলার চৌন্ডি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মানকোজি রাও শিন্দে ছিলেন গ্রামের পাতিল। তখন মহিলারা স্কুলে যেতেন না, কিন্তু অহল্যাবাঈয়ের বাবা তাঁকে পড়তে এবং লিখতে শেখাতেন।
১৭৫৪ সালে কুম্ভেরের যুদ্ধে অহল্যাবাঈয়ের স্বামী খান্ডেররাও হোলকার নিহত হন। বারো বছর পর, তাঁর শ্বশুর, মালহার রাও হোলকার মারা যান। এর এক বছর পর তাকে মালওয়া রাজ্যের রাণী হিসেবে অভিষেক করা হয়। তিনি লুণ্ঠনকারী আক্রমণকারীদের হাত থেকে তার রাজ্যকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে যুদ্ধে সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি তুকোজিরাও হোলকারকে সেনাবাহিনীর প্রধান নিযুক্ত করেছিলেন।
রানী অহল্যাবাঈ ছিলেন হিন্দু মন্দিরের একজন মহান পথিকৃৎ এবং নির্মাতা। তিনি ভারতজুড়ে শত শত মন্দির এবং ধর্মশালা নির্মাণ করেছিলেন।
তারপর সভাপতি অনিমেষ পাহাড়ি বলেন, অহল্যাবাঈ হোলকার নারী জাতির আদর্শের প্রতীক। বঙ্গ প্রদেশের লোকমাতা রাণী রাসমণি এবং রাণী ভবানীর মতো তিনিও সমাজে প্রচলিত ভাবনার বিরুদ্ধে নতুন ভাবনাকে এগিয়ে দিয়েছেন, সমাজ সংস্কার করেছেন। মাতৃশক্তিকে আত্মনির্ভরশীল করার চেষ্টা করেছেন। আমাদের দেশ তথা রাজ্যের মাতৃশক্তির মধ্যেও সেই গুণ আছে। মাতৃশক্তিরা সমাজ-সংসারের কাজের পাশাপাশি কৃষি কাজেও এগিয়ে আসুক। আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে গো-পালন, ছাগল পালন, হাঁস-মুরগি পালন; জৈব সার তৈরি, দুধ থেকে ঘী, দই, পনীর ইত্যাদি তৈরির কাজ করে তারা সংসারের আয় বাড়াতে পারেন। শক্তিশালী মাতৃশক্তিই পারে শক্তিশালী রাষ্ট্র গঠন করতে।
'Women empowerment'-এর পক্ষ থেকে নমিতা নায়েক উপস্থিত ছিলেন। তিনি নারীদের স্বনির্ভর করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কাজের কথা বলেন।
Comments
Post a Comment