স্বচ্ছ বার্তা,মিলন খামারিয়া,পূর্ব বর্ধমান, ১৬ সেপ্টেম্বর; গত ১৪/০৯/২৫ তারিখ, রবিবার, নবদ্বীপ সংলগ্ন নিউ মাদার্স হাট, মাধাইপুর,পূর্ব বর্ধমানে, সংস্কার ভারতী নদিয়া জেলার পক্ষ থেকে বহিরঙ্গন চিত্রকলা কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এই কর্মশালায় প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন থেকে পাস করা চিত্রশিল্পী অর্ক দাস।
এদিন শুরুতেই শিক্ষার্থীদের চন্দনের ফোঁটা, ধান দূর্বা শাঁখ বাজিয়ে; উলুধ্বনি দিয়ে একে একে বরণ করে নেন সংস্কার ভারতীর কার্যকর্তারা। প্রদীপ প্রজ্জলন ক'রে ভারত মাতা ও নটরাজ মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য ও মাল্যদান করেন চিত্রশিল্পী অর্ক। সংস্কার ভারতীর শিল্পীরা ভাব-সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন।
শিল্পীকে সম্মাননা প্রদান ও চন্দনের ফোঁটা দিয়ে বরণ করেন জেলা চিত্রকলা প্রমুখ সোমা হাজরা ও সভাপতি বাসুদেব সাহা, কোষাধ্যক্ষ ভবেশ বসাক ব্যাচ পরিয়ে দেন এবং প্রদেশ চিত্রকলা প্রমুখ জয়দেব বণিক মহাপ্রভুর মূর্তি - প্রশিক্ষক শিল্পীর হাতে তুলে দেন। জেলা মঞ্চ কলা প্রমুখ শর্মিলা সাহা শিল্পীকে পাঞ্জাবি উপহার হাতে তুলে দেন।
প্রশিক্ষক অর্ক দাস সকলকে ডেকে কর্মশালার বিষয়ে নিয়ম-কানুন বলে দেন। সুদৃশ্য নদীর পাড়ে প্রত্যেক শিল্পী স্বাধীনভাবে আনন্দের সাথে, শরতের খোলা আকাশের নিচে আউটডোর স্টাডি করেন। এখানে ৯০ জন শিক্ষার্থী নদিয়া,পূর্ব বর্ধমান ও উত্তর ২৪ পরগণা জেলা থেকে অংশগ্রহণ করেন। ১০ - ৪৫ বছর বয়সী শিল্পীরা এখানে যোগদান করেন এই কর্মশালায়। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, বিশ্বভারতী থেকে পাস করা তিনজন শিক্ষার্থী - পায়েল দেবনাথ, সুজন দাস, অর্ক দেবনাথ - আজকের এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেছিলেন ।
সমারোপ অনুষ্ঠানে অর্ক দাস কর্মশালা সম্পর্কে নিজ বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, আমি আপ্লূত এমন কর্মশালার প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকতে পেরে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভীষণ আগ্রহ দেখলাম। বঙ্গদেশের পটচিত্র, বিহারের মধুবনি, রাজস্থানের মিনিয়েচার ইত্যাদি ভারতীয় সংস্কৃতির চর্চা করা উচিত আমাদের, যাতে দেশীয় সংস্কৃতিকে রক্ষা করা যায়। এমন কর্মশালা আরও হোক, তাহলে শিক্ষার্থীরা জানতে পারবে আমাদের সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে।
এরপর ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক অনুমোদিত শংসাপত্র ও একটি গাছ সকল শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয় ঋত্বিক তলাপাত্র।
নদিয়া জেলা সভাপতি বাসুদেব সাহা বলেন, গাছ আমাদের বন্ধু। তোমরা এই গাছ নিয়ে বাড়িতে লাগাবে। তাতে পরিবেশ ভালো থাকবে আর আমরাও ভালো থাকব। তোমাদের আজীবন স্মরণ থাকবে এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করার কথা।
বহিরঙ্গন চিত্রকলা কর্মশালা অনুশীলন বিষয়ে জয়দেব বণিক বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হল সনাতনী রাষ্ট্র চেতনা পরম্পরা সংস্কৃতির ধারাকে ধরে রাখা, নতুন প্রজন্মকে পথ দেখানো সংস্কার ভারতীর কাজ আমরা দারুন সারা পেয়েছি। আগামীতে এইরকম কর্মসূচি আবারও হবে।
নদিয়া জেলা সম্পাদক ঋত্বিক তলাপাত্র বলেন, সংস্কার ভারতীর চিত্রকলা বিধার কর্মশালা আজ হল। পাশাপাশি অন্যান্য - সাহিত্য, নৃত্য, সঙ্গীত, নাট্য কলা বিধাকেও আমরা শক্তিশালী করব, যার মাধ্যমে ভারতীয় সনাতনী সংস্কৃতিকে মজবুত করে গড়তে পারি আমরা।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন জেলা সহ-সম্পাদক সুরোজিৎ সাহা। রাষ্ট্র গীতি বন্দেমাতরমের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমারোপ হয়।
Comments
Post a Comment