স্বচ্ছ বার্তা,মিলন খামারিয়ার,নিজস্ব প্রতিনিধি
ভারত সরকারের পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের সহযোগিতায় ও সংস্কার ভারতী পশ্চিমবঙ্গের আয়োজনে, সংগঠনের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যবস্থাপনায়; দু'দিনের গৌড়ীয় নৃত্যের কর্মশালা শেষ হল আজ। এই কর্মশালা আয়োজিত হল গোবরডাঙার বাবুপাড়ার সৃজনী নৃত্যাঙ্গনে।
গৌড়ীয় নৃত্য ধারা হল অখণ্ড বঙ্গপ্রদেশ তথা ভারতের অন্যতম প্রাচীন নৃত্য শৈলী। দু'হাজার বছরের বেশি প্রাচীন এই নৃত্য ধারার উল্লেখ পাওয়া যায় ভরতমুনির নাট্যশাস্ত্রে। বঙ্গপ্রদেশের বিভিন্ন মন্দির গাত্রে এই নৃত্য ধারার ভাস্কর্য দেখতে পাওয়া যায়। বর্তমান সময়ে পশ্চিমবঙ্গে ড. মহুয়া মুখোপাধ্যায় এই নৃত্য ধারার সমৃদ্ধি ঘটিয়েছেন।
গতকাল ও আজ, দু'দিন ব্যাপী এই কর্মশালায় প্রশিক্ষণ দেন তিনি। সাথে সুযোগ্য সঙ্গত করেছেন এই নৃত্য ধারার সঙ্গীত গবেষক পন্ডিত অমিতাভ মুখোপাধ্যায় ও তার বরিষ্ঠ ছাত্র-ছাত্রীরা।উপস্থিত ছিলেন সংস্কার ভারতী পশ্চিমবঙ্গের সহ-সম্পাদক অমিত দে।
সংস্কার ভারতী দীর্ঘ দিন ধরেই ভারতীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্য কে নতুন প্রজন্মের মধ্যে সঞ্চারিত করার কাজ করে চলেছে। সেই উদ্দেশ্যেই এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
সংগঠনের সর্বভারতীয় ভাব সঙ্গীতের মাধ্যমে কর্মশালার সূচনা হয়। নটরাজের সামনে অতিথিরা প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন, দীপ মন্ত্র সহযোগে।
পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত ৪৯ জন শিক্ষার্থী এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে শিক্ষার্থীরা গৌড়ীয় নৃত্য প্রদর্শন করেন সর্বসমক্ষে। এরপর ভারত সরকার প্রদত্ত শংসাপত্র সকলের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এই কর্মশালা প্রসঙ্গে সংস্কার ভারতীর সাধারণ সম্পাদক তিলক সেনগুপ্তের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান যে, অখণ্ড বঙ্গপ্রদেশের শতাব্দী প্রাচীন গৌড়ীয় নৃত্যের উল্লেখ ভরতমুনির নাট্যশাস্ত্রে পাওয়া যায়। এই নৃত্যধারাকে পুনরায় উজ্জীবিত করে আমরা বর্তমান সময়ের যুব সমাজ ও প্রবীণদের কাছে তুলে ধরতে চাই। উৎশৃঙ্খল ও অশালীন নৃত্য শৈলী দেখে আজকের প্রজন্ম নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গৌড়ীয় নৃত্যের মাধ্যমে আমাদের সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণ ঘটিয়ে সমাজকে ভালো রাখতেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি আমরা। পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এই নৃত্যধারার প্রচার প্রসারের উদ্যোগ শুরু করেছি।
Comments
Post a Comment