শুভকল্যাণ বিশ্বাস,স্বচ্ছ বার্তা কালীগঞ্জ, - কালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে শাসক দল তৃণমূল এগিয়ে থেকে শুরু করেছিল। গত বিধানসভা নির্বাচনের প্রায় ৪৬ টা ভোটের লিড ছিল এই আসনে।
উপনির্বাচনের দিন প্রবল বৃষ্টি মুখে মানুষ ভোট দিতে বেরিয়েছিল। ৭২.৫ শতাংশের উপরে ভোট পড়েছিল কালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচন।
বৃষ্টি মাথায় নিয়েই দিনভর ভোটগ্রহণ চলে।বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তি বাদ দিলে কালীগঞ্জের উপনির্বাচন মোটের উপর শান্তিপূর্ণই ছিল। ভোট নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল প্রার্থীরাও।
কালীগঞ্জ উপনির্বাচনে এ বার ছিল মূলত ত্রিমুখী লড়াই। গত বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী নাসিরউদ্দিন আহমেদ তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির অভিজিৎ ঘোষকে ৪৬ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়েছিলেন। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিধায়কের মৃত্যু হয় আচমকা। তার ফলে এই উপনির্বাচন। এ বার নাসিরুদ্দিনের কন্যা আলিফা আহমেদকে কালীগঞ্জ থেকে প্রার্থী করেছে রাজ্যের শাসকদল। এ ছাড়া, তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ময়দানে আছেন বিজেপির আশিস ঘোষ এবং বামফ্রন্ট সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী কাবিলউদ্দিন আহমেদ।
কালীগঞ্জে মোট ৩০৯টি বুথে ভোটগ্রহণ হয়েছে বৃহস্পতিবার। তার মধ্যে ১৮৫ বুথে এজেন্ট দিয়েছিল বিজেপি। বাকি বুথ গুলিতে বিজেপির কোনও এজেন্ট ছিলেন না। এখানেই বিজেপির পাওয়া যায় নিশ্চিত হয়ে গেছে। এখন দেখার বিষয় একুশে নির্বাচনের থেকে উপনির্বাচনের ফল ভালো হয় না খারাপ হয়।
আগামী সোমবার, ২৩ জুন উপনির্বাচনের ফল ঘোষিত হবে। তা নিয়ে আশাবাদী আলিফা। বলেছেন, ‘‘কালীগঞ্জের মানুষ উন্নয়নের পক্ষে রায় দিয়েছেন। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোটারেরা বুথে এসেছিলেন, যা তৃণমূলের প্রতি তাঁদের আস্থার প্রমাণ। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মা- মাটি-মানুষের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। ২৩ জুন দেখবেন আমরা রেকর্ড ব্যবধানে জিতেছি।’’ বিজেপি প্রার্থী আশিসের মতে, কালীগঞ্জের উপনির্বাচনে সাধারণ মানুষের রোষের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে। তিনি বলেছেন, ‘‘তৃণমূলের তোষণ নীতি, দুর্নীতি এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যর্থতার বিরুদ্ধে কালীগঞ্জের মানুষ স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন বলে আমার বিশ্বাস। ভোটারেরা বুঝেছেন যে, শাসকদল ভয় দেখিয়ে ভোটের ফল বদলাতে চায়। কিন্তু এ বার তা সম্ভব হয়নি। গণনার দিন প্রমাণ হবে, বিজেপিই প্রধান বিকল্প।’’ কংগ্রেসের কবিলউদ্দিনের কথায়, ‘‘ধর্মীয় মেরুকরণের বিরুদ্ধে কালীগঞ্জের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন। তৃণমূল ও বিজেপি— উভয়েই সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতে চেয়েছিল।
তবে আমারে জনমত সমীক্ষার যেটা উঠে এসেছে সেটা হল বিজেপি এখানে ৫৪ থেকে ৫৫ হাজার ভোটে পরাজয় স্বীকার করছে। কংগ্রেস যেখানে ২৭ থেকে ২৮ হাজার ভোট পেতে পারে . আর বিজেপি পেতে পারে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার ভোট। সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে বিজেপি এখানে কম পক্ষে থেকে দশ হাজার ভোট কম পাবে। বিজেপির জেলার সভাপতি তার নিজের জন্মদিন পালন করতে ব্যস্ত ছিল ভোটের দিন। আর তৃণমূল কর্মীরা ব্যস্ত ছিল বৃষ্টির দিনে ভোটারদের বুথে কি করে নেওয়া যায় সেই কাজে।
Comments
Post a Comment