কাটোয়া জেলায় মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে পূর্বস্থলী থানায় বিক্ষোভ প্রদর্শন।

পূশুভকল্যাণ বিশ্বাস, স্বচ্ছ বার্তা, কাটোয়া - গতকাল পূর্ব বর্ধমান কাটোয়া সাংগঠনিক জেলা মহিলা মোর্চার পক্ষ থেক পূর্বস্হলী থানায়  বিক্ষোভ দেখানো হয়। কলকাতার মহেশতলায়  তুলসী মন্দির ভেঙে দেওয়া এবং বাংলাদেশের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঘর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে , এর প্রতিবাদে এদিন পূর্বস্থলী থানায় বিক্ষোভ প্রদর্শন  করা হয়। 
পশ্চিম বাংলা ও বাংলাদেশ কোথাও যেন হিন্দু বাঙালীদের নিরাপত্তা নেই।  পশ্চিম বাংলার যে যে জেলাগুলিতে মুসলিমরা সংখ্যা গরিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সেই সব জেলার হিন্দু বাঙ্গালীদের মর্মান্তিক অবস্থা। তারা স্বীকার হচ্ছে লাভ জিহাদ ও জমি জিহাদের। 
 এই দুটোর কারণে হিন্দু বাঙালিরা বিভিন্ন জেলা থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের কাছে অত্যাচারিত হয়ে জমি বাড়ি বিক্রি করে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। যার ফলে কিছু কিছু জেলা পশ্চিমবাংলায় হিন্দু-শূন্য হয়ে পড়েছে। 
 যে সমস্ত জেলায় মুসলিমদের জনসংখ্যা বেশি সেখানকার প্রশাসনিক স্তরে মুসলিম আধিকারিকের সংখ্যা বেশি। যারফলে হিন্দুরা  অত্যাচারিত হলেও সঠিক ভাবে তার বিচার পাচ্ছে না। এখানকার জনপ্রতিনিধিরা ভোটের কারণে সঠিক বিচারও দিতে পারছে না। তাইতো পশ্চিমবঙ্গের প্রায় দশের অধিক জেলায় হিন্দুরা  অত্যাচারিত হচ্ছে পশ্চিমবাংলায়।
 অপরদিকে বাংলাদেশের ডক্টর ইউনু সরকারের বিরুদ্ধেও হিন্দু অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে। সিন্ধু মনীষীদের বাড়িঘর দর ভাঙচুর করা, মন্দির ভেঙে দেওয়া, হিন্দু বাঙ্গালীদের উৎসব গুলি  করতে বাধা সৃষ্টি করা, এই সমস্ত ঘটনা বাংলাদেশের প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে। এই সমস্ত ঘটনার প্রতিবাদে বর্ধমান কাটোয়া জেলা মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে এদিন পূর্বস্থলী থানায় বিক্ষোভ দেখানো হয়। 
 জেলার মহিলা মোর্চার সভানেত্রী শ্রাবন্তী মজুমদার জানান, পশ্চিমবঙ্গের মহিলারা কোথাও নিরাপদ নয়। আমরা লক্ষীর ভান্ডার চাই না। আমরা লক্ষ্মী নিরাপত্তা চাই। পশ্চিমবঙ্গের যে সমস্ত মহিলারা ধর্ষিত হচ্ছে। তার একশ শতাংশ হিন্দুরা। কোথাও কোন মুসলিম ঘরের সন্তান ধর্ষিত হচ্ছে না। আর যারা ধর্ষণ করছে তার নব্বই শতাংশ মুসলিম। অথচ এই সরকার ধর্ষণের সঠিক বিচার করছে না। আজও কামদিনী মেয়েটার বিচার হলো না। ১৩-১৪ বছরের মেয়েদের ধর্ষণ করে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হচ্ছে। ধর্ষকদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন মহিলা। পশ্চিমবঙ্গ ধর্ষণে এক নম্বর। সেই রাজ্যে লক্ষীর ভান্ডার দিয়ে কি লাভ। যেখানে লক্ষী নিরাপত্তা নেই সেখানে লক্ষ্মীর ভান্ডার দিয়ে লক্ষ্মী নিরাপত্তা বাড়ানো যায় না। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী শুধু মুখ্যমন্ত্রী নয় তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তাহলে কেন পশ্চিমবঙ্গে ধর্ষণ এক নম্বর হবে। 
 এই বাংলায় প্রতিনিয়ত কত নারী ধর্ষিত হচ্ছে ইভটিজিং হচ্ছে, শীলতাহানি  হচ্ছে সেটা যদি সঠিকভাবে থানায় লিপিবদ্ধ হতো তাহলে সারা বিশ্বের কাছে পশ্চিমবঙ্গ বদনামের অংশীদার হয়ে যেত। এ সমস্ত ঘটনায় অনেক  ক্ষেত্রে থানায় অভিযোগেই নেওয়া হয় না।  
 তাই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলতে চাই , আগে লক্ষীদের নিরাপত্তা দিন। তারপর লক্ষীর ভান্ডারী কথা ভাবুন।

Comments