শুভ কল্যাণ বিশ্বাস, স্বচ্ছ বার্তা, কলকাতা - 34 বছরের বামফ্রন্টের অপশাসনের মুক্তি ঘটিয়ে 2011 সালে তৃণমূল যখন ক্ষমতায় আসে তখন বাংলার মানুষের চাহিদা ছিল তৃণমূলের কাছে আকাশ ছোঁয়া। কিন্তু 15 বছর পর এই চাহিদা এসে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমবাংলায় সনাতনী হিন্দুরা থাকতে পারবে তো।
৩৪ বছরের বামফ্রন্টের অপশাসনে অনেক গন হত্যাকান্ড এর সাক্ষী থেকেছে বাংলার মানুষ। নন্দীগ্রাম হত্যাকাণ্ড ও সিঙ্গুর আন্দোলন তৃণমূলকে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করেছে।
বামফ্রন্ট যতটা না তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতো তাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে তৃণমূল সেই তুষ্টিকরণের রাজনীতি শুরু করেছে বাংলায়। যার ফলে পশ্চিমবঙ্গে সংখ্যালঘুদের আধিপত্য সর্বক্ষেত্রে বিরাজ করছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব রকমের ব্যবসায় মুসলিমদের আধিপত্য বেড়েছে।
যেমন ফলের ব্যবসা,ফুলের ব্যবসা, সবজি ব্যবসা, হোটেল রেস্টুরেন্ট এর ব্যবসা, ট্রান্সপোর্ট বা পরিবহন ব্যবসা, এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যবসা, কনস্ট্রাকশন সাইডের ব্যবসা,সরকারি টেন্ডার এর ব্যবসা সবটাই এখন প্রায় মুসলিমদের দখলে।
যে সমস্ত সরকারি কাজের টেন্ডার দেওয়া হচ্ছে দেখা যাচ্ছে তার বেশিরভাগ কনট্রাক্টর মুসলিম।
এমনকি হোটেলে ব্যবসা ও বর্তমানে মুসলিমদের দখলে চলে এসেছে যেটা কয়েক বছর আগেও মারওয়ারিদের দখলে ছিল। বর্তমানে বাঙালি হিন্দু মুসলিমরা হোটেল ব্যবসায় প্রচুরভাবে বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে।
যদি জনবিন্যাসের কথা ধরে বলতে হয় তাহলে,বিগত 15 বছরে পশ্চিমবঙ্গে যত শিশুর জন্ম হয়েছে তার 73% মুসলিম ঘরের সন্তান।
বাদবাকি 27% হিন্দু ঘরের সন্তান জন্ম হয়েছে।
বিগত পাঁচ বছরের মৃত্যুর হার যদি দেখা হয় 60% হিন্দু মানুষের মৃত্যু হয়েছে 40% এবং মুসলিম মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের ভূমিকা আগের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে। মুসলিম নেতারা সামনে থেকে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিধানসভা জুড়ে। যেটা কয়েক বছর আগেও পশ্চিমবঙ্গের কল্পনা করা যেত না।
Comments
Post a Comment