লকডাউনে বাচ্চাদের পড়াশোনার ঘাটতি পূরণ করবেন কিভাবে? জেনে নিন তার টোটকা.

      শুভকল্যাণ বিশ্বাস, স্বচ্ছ বার্তা -করোনা মহামারী ছাত্রছাত্রীদের জীবনের দুটি মূল্যবান বছর কেড়ে নিয়েছে. যে সকল ছেলে মেয়েরা সদ্য স্কুলে ভর্তি হয়েছিল তাদের অবস্থা সব থেকে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে. হতাশায় ভুগছে সেই সমস্ত ছোট ছোট বাচ্চা ছেলে মেয়েরা এবং তাদের অভিভাবকবৃন্দ. সেখান থেকে বেরিয়ে আসা সহজ উপায় নয়.
যে সমস্ত কু অভ্যাস রপ্ত করে ফেলেছে দু বছরের ছেলেমেয়েরা এটা তাদের ছাত্র জীবনে অনেকটাই ক্ষতি করে দিতে পারে.
 এই ক্ষতি কিভাবে মেরামত করা যেতে পারে সেই উপায় খুঁজছে সচেতন অভিভাবকবৃন্দ.
 যদিও অবিভাবকরা বাড়িতে গৃহশিক্ষক  রেখে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে গেছে. কিন্তু প্রথম বছরে করোনার মধ্যে কোন অভিভাবকই তাদের সন্তানদের গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে দেননি.
 রাস্তায় চলতে চলতে একটি বাস যদি হঠাৎ করে রাস্তার মাঝে টায়ার পাংচার হয়ে যায় তখন বাসের যাত্রীদের অবস্থা কি হয়? ছাত্র-ছাত্রীদের অবস্থা সেইরূপ হয়েছে.

 এখন দেখে নেওয়া যাক কি কী কু অভ্যাস রপ্ত করেছে ছাত্র-ছাত্রীরা করোনার মধ্যে.

1) নিয়ম করে নিয়মিত সঠিক সময়ে পড়তে না বসতে চাওয়া.
ছাত্র-ছাত্রী তাদের  অভিভাবক দের বলছে আমিতো সারাদিন বাড়িতেই আছি.পড়বো ঠিকই একসময়. কিন্তু বাস্তবে সেটা হচ্ছে না.
আর অভিভাবকবৃন্দ দেখছে তার ছেলেমেয়ে তো বাড়িতেই আছে. ঠিকই পড়বে কোন এক সময়.
সকাল সন্ধ্যা নিয়ম করে পড়ার অভ্যাস  থেকে ছেলেমেয়েরা সরে গেছে. এই অভ্যাস রপ্ত করতে গেলে কয়েক মাস সময় লেগে যাবে ছাত্র-ছাত্রীদের.

2) ছেলেমেয়েদের  বাড়িতে বসে টিভি দেখার সময় মাত্রা বেড়ে গেছে. তারা এই যে কু অভ্যাস রপ্ত করেছে দু'বছর ধরে. এই কু-অভ্যাস পড়াশোনার ব্যাপকহারে ক্ষতি করতে পারে ছেলেমেয়েদের.

3) ছেলেমেয়েদের চাহিদার মাত্রা বেড়ে গেছে তাঁদের অভিভাবকদের কাছ থেকে. মাত্রা অতিরিক্ত দাবি করে বসছে অভিভাবকদের কাছ থেকে ছেলে মেয়েরা.

4) এই লকডাউন এর সময় ছেলেমেয়েরা অতিরিক্ত মোবাইল এবং টিভি দেখার কারণে  চোখের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে.

5) ছেলে মেয়েদের শরীর অতিরিক্ত মেদ জমে গেছে বাড়িতে থাকার কারনে.এক কথায় বলতে গেলে শরীর আনফিট হয়ে গেছে বাড়ীর ছেলে মেয়েদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও.
6) দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস রপ্ত করে ফেলেছে ছেলে মেয়েরা.

7) মা -বাবার অবাধ্য হতে শুরু করেছে ছেলে -মেয়েরা.
8) এক কথায় বলতে গেলে ছেলে মেয়ে গুলি লকডাউনে হতাশ করে দিয়েছে তাঁদের বাবা-মাকে.

এখন দেখা নেওয়া যাক কি ভাবে এর থেকে বেরিয়ে আসা যায়.

# মুক্তির সহজ উপায় গুলি কি কি জানুন #
1) গৃহ শিক্ষক বাড়িতে থাকলেও অভিভাবকের উচিৎ নিজেরাই সন্তান এর হোম টাস্ক দেখে নেওয়া. যদি শিক্ষিত না হয়ে থাকেন তাহলে গৃহ শিক্ষক কে বলে বাড়িতে বসেই মাসিক পরীক্ষা নিতে হবে ছাত্র -ছাত্রীদের.
2)স্কুলের কাজ গুলি বাড়িতে বসে সঠিক ভাবে  ছেলে মেয়েরা সঠিক ভাবে করছে কি না সে দিকে নজর দিতেই হবে.
3) ভোর বেলা সন্তানদের মর্নিং ওয়ার্কে নিয়ে বেড়োতে হবে.
4) সকাল ও সন্ধ্যায় বাড়িতে ছেলে মেয়েদের বই নিয়ে বাসাতেই হবে.
5)রাতে কখনোই রিচ খাবার খাওয়াবেন না.
6)সন্তানদের যোগ ব্যায়াম শেখাতে হবে.
7)সর্ব শেষ যদি পারা যায় বাড়িতে টিভির ক্যাবেল কানেকশন 15 দিনের জন্য বন্ধ করা.

Comments