ডক্টর এপিজে আব্দুল কালামের জন্মদিনকে শিশু দিবস হিসাবে পালন করা উচিৎ ভারতের মানুষের : স্বয়ংসেবক গোবিন্দ বিশ্বাস.
শুভ কল্যাণ বিশ্বাস, স্বচ্ছ বার্তা :-
আজ 14 নভেম্বর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর জন্মদিন. কংগ্রেস সরকারের আমলেই এই দিনটিকে শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়. আজ শিশু দিবস কে উপলক্ষ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে দাবি উঠতে শুরু করল প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও পরমাণু বিজ্ঞানী ডক্টর এপিজে আব্দুল কালাম এর জন্মদিনে শিশু দিবস পালন করা হোক.
ডক্টর এপিজে আবদুল কালাম 1931 সালের 15 অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন. পুরো জীবনে তিনি বিবাহ করেননি. মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত দেশ সেবায় নিয়োজিত ছিলেন তিনি. ভারত যে আজকে পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে উঠে এসেছে তার সিংহভাগ অবদান দাবি রাখতে পারেন ডক্টর এপিজে আবদুল কালাম. বিজেপি সরকারের রাজত্বকালে 2002 সালের 25 শে জুলাই তিনি ভারতের11তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন এবং দীর্ঘ পাঁচ বছর তিনি পূর্ণকালীন রাষ্ট্রপতি ছিলেন. 2015 সালের 27 শে জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন.
জাতি ধর্ম নির্বিশেষে ভারতের এমন কোনো মানুষ নেই, যে ডক্টর এপিজে আবদুল কালাম কে ভালোবাসেন না. তিনি ছিলেন ভারতের অজাত শত্রু মানুষ. ভারতের মিসাইল ম্যান হিসেবে তার নাম চিরদিন ভারতের ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকবে. তিনি ভারতকে পরমাণু শক্তিধর দেশের উপাধিতে ভূষিত করেছেন. তিনি শিশুদেরকে খুবই ভালবাসতেন.. এই কারণেই 14 ই নভেম্বর শিশু দিবস পালন না করে 15 ই অক্টোবর ডক্টর এ পি জে আব্দুল কালামের জন্মদিন কে শিশু দিবস হিসেবে পালন করার দাবি উঠল সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে.
করোনা ও আম্ফান ঝড়ের সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো RSS স্বয়ংসেবক গোবিন্দ বিশ্বাস বলেন, যে ব্যক্তি শুধু প্রধানমন্ত্রী হতে চাওয়ার কারনে ভারত ভাগ হয়েছে. ভারত মাকে টুকরো করে দু'খন্ড করেছে. যে নিজের স্ত্রীকে মৃত্যুশয্যায় দেখতে পর্যন্ত যায়নি. নিজের শিশুসন্তানদের অসহায় অবস্থায় ফেলে রেখে চলে গেছে. যার চরিত্রে অসংখ্য দাগ আছে. তার নামে শিশু দিবস পালন করা দেশের সমস্ত শিশুদের অপমান করা হয়. প্রকৃত শিশু প্রেমী ডক্টর আবদুল কালামের জন্মদিন কে শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হোক. এই দাবি আমি ব্যক্তিগতভাবে ভারত সরকারের কাছে রাখছি. ভবিষ্যতে ডক্টর কালামের জন্মদিন কে শিশু দিবস হিসেবে পালন করার জন্য আমরা আন্দোলনে যেতে প্রস্তুত.
Comments
Post a Comment