শুভকল্যাণ বিশ্বাস, স্বচ্ছ বার্তা, বনগাঁ -
পূজার সময় সাধারণ মানুষ বাড়ীর বাইরে বেড় হয় কেনাকাটার কারনে. সারা বছর বনগাঁয় যানজট থাকে. তার কারন মহকুমা শহর বনগাঁ. চারটি বিধানসভার প্রাণ কেন্দ্র এই বনগাঁ. কোর্টের চত্বরে মহকুমা শাসক এর অফিস ও RTO অফিস থাকায় সারা বছর মানুষের আনাগোনা থাকে.
কিন্তু দূর্গা পূজার সময় এলেই জানজটে শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে.
যদিও বনগাঁ শহরের আমূল পরিবর্তন হয়েছে বিগত পাঁচ বছরে. ছোট ছোট গলির রাস্তা গুলিকে বড় করা হয়েছে চলাফেরার সুবিধার্থে.
কিন্তু বনগাঁয় তবুও সারা বছর যানজট থাকে PWD রাস্তার পাশ দিয়ে লরী পার্কিং এর জন্যে. এতদিন বনগাঁয় যানজট হতো বাটারমোড়ে, মতিগঞ্জ,1 নং রেল গেটের এলাকায়.
বর্তমানে যানজট হচ্ছে বনগাঁ শহরের সব রাস্তাগুলিতে. চাকদা রোডের হাসপাতাল মোড়ে, রামনগর রোড মোড়ে, 1 নং রেল গেট পার করে সুভাষপল্লি যশোর রোড, বনগাঁ - বাগদা রোডের পাইক পাড়া, মনিগ্রাম ও বাজুতলা এলাকায়.
আর ভারী গাড়ির পার্কিং এর কারনে বনগাঁ - বাগদা রোডের যে দুর্বিসহ অবস্থা সেটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়.
ধর্মপুকুরিয়া পঞ্চায়েত এর অধীনে একটি পেট্রোল পাম্প ও কিছু পার্কিং গড়ে উঠছে.
এই সমস্ত পার্কিং এর সামনে যে নয়নজুলি গুলি ছিলো সে গুলি মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে.বনগাঁ - বাগদা রোডের PWD এর জায়গা গুলি কি করে মাটি ফেলে ভরাট করছে, সেই প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে না. বা উত্তর দেওয়ার লোকের অভাব.
তবে এই সব কারনে মানুষ রাস্তায় বেড়িয়ে ভোগান্তি শিকার হচ্ছে.
এই সমস্ত অবৈধ পার্কিং প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি তপশিলি মোর্চার সভাপতি ও বাগদা বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বলেন, আমাকে প্রত্যেকদিন বনগাঁ বাগদা রোড দিয়ে যাতায়াত করতে হয় .আমি নিজে যেমন ভোগান্তির শিকার হই তেমনি দেখি সাধারণ মানুষও রাস্তার পাশে অবৈধ পার্কিং এর কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে.
গাঁড়াপোতা বাজার, হেলেঞ্চা বাজার, বাগদা বাজার, সিন্দ্রানী ও নলডুগাড়ি বাজারের এমন অবস্থা রাস্তায় গাড়ি চালানো তো দূরের কথা যানজটের কারনে হাঁটা চলা করাই দুস্কর. PWD এর জায়গা দখল করতে করতে এমন অবস্থা যেন রাস্তাটাই দখল করতে পারলে এদের ভালো হতো.
আমাদের বনগাঁ - বাগদা রোড দেখলেই উন্নয়ন চোখে পরবে. তৃণমূলের নেতা অনুব্রত মন্ডল ঠিকই বলেছেন, রাস্তায় উন্নয়ন দাঁড়িয়ে আছে.
একটা সরকার কতটা সফল সেটা তার প্রশাসন দিতে পারে.কিন্তু এই রাজ্যের জ্বলন্ত নিদর্শন হল সড়ক পরিবহন ও স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়েছে.
Comments
Post a Comment