শুভকল্যাণ বিশ্বাস, স্বচ্ছ বার্তা -
মমতা বন্দোপাধ্যায় ভবানীপুর উপনির্বাচনে 58 হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছে. তার এই জয় নিয়ে চিন্তিত ছিলনা বিজেপি. কিন্তু বিজেপি যেটা আশা করেছিল সেটা হোলো কম মার্জিনে পরাজয়. কিন্তু সেটাও হোলো না. যুদ্ধ করতে নেমে যোদ্ধা যদি জয় নিশ্চিত ধরে তাহলে পরাজয় নিশ্চিত. যেমনটি হয়েছিল এবার 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন বিজেপির কাছে.
কিন্তু মমতা ব্যানার্জী শেষ পর্যন্ত লড়াই জারি রেখে জয় ছিনিনে নিয়েছে.
মমতা ব্যানার্জীর এই জয় কে অনেকেই বলতে শুরু করেছে দিদি -মোদীর সেটিং এর ফল এই ফলাফল.
কিন্ত আপনাদের এই উপনির্বাচনের ফলাফল দেখে চিন্তা করা উচিত. এবারের উপনির্বাচনে ভোট পরেছে 53.32 শতাংশ. অর্থাৎ 1 লক্ষ 18 হাজার,580 ভোট দিয়েছেন ভবানীপুরের মানুষ. এই ভোটার যারা ভোট দিয়েছেন তার মধ্যে প্রায় 70 হাজার মুসলিম ভোটার. যা প্রায় সবটাই মমতা ব্যানার্জী পেয়েছেন.
মমতা ব্যানার্জী পেয়েছেন 85,263 ভোট, প্রিয়াঙ্কা ট্রিবিয়াল পেয়েছেন 26,428 ভোট,শ্রীজীব বিশ্বাস পেয়েছেন 4226 ভোট, নোটায় পরেছে 1453 ভোট.
যে 53.32 শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন তার মধ্যে 71.90% পেয়েছে তৃণমূল.22.29% শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি,3.56%শতাংশ ভোট পেয়েছে সিপিএম, নোটায় পড়েছে 1.23 শতাংশ ভোট, বাদবাকি অন্যান্য প্রার্থীরা যারা এক শতাংশের থেকেও কম ভোট পেয়েছেন.
তারপরেও কেন তাকে এত টা সিরিয়াসলি নির্বাচন টা নিতে হলো. কারন তিনি কাউকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না. বিশ্বাস করেই তিনি নন্দীগ্রাম নির্বাচনে হেরেছেন. তাই তিনি চেয়েছিলেন নন্দীগ্রামের হারের সঠিক বদলা নিতে. সেটা তিনি সুদে আসলে মিটিয়ে দিয়েছেন বিজেপির নেতৃত্ব কে.
2011 সালে তিনি ভাবানীপুরে 54 হাজারের কিছু ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন.
2016 সালে দীপাদাসমুন্সী কে 26 হাজারের কিছু ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন.
এবার উপনির্বাচনে শোভনদেবর থেকে বেশী মার্জিনে জিততে চেয়েছিলেন. তিনি তার দলের কর্মীদের কাছে আবদার রেখে ছিলেন জয়ের মার্জিন যেন 50 হাজারের নিচে না আসে.
তৃণমূলের কর্মীদের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই জারি ছিলো. তাইতো তারা এই জয় আনতে পেরেছে.
কিন্তু মমতা ব্যানার্জীর কাছে এই জয়ের কত গুরুত্ব সেটা মমতা ব্যানার্জী নিজেই জানেন.
তাইতো সব রকম প্রচেষ্টা করেই তিনি জয় লাভ করেছেন. যদিও বিজেপির অভিযোগ সন্ত্রাস করে, ভয় দিখিয়ে এই ভোট করা হয়েছে.
বিজেপির প্রাথী প্রিয়াঙ্কা ট্রিরিয়্যাল অভিযোগ করেছেন ফল ঘোষণার পরে,
অবাঙালি ভোটারদের ভোটের দিন বুথে যেতে বারণ করা হয়েছে হুমকি দেওয়া হয়েছে. মমতা ব্যানার্জী হেরে গেলে রাজ্যে কিন্তু তৃণমূল থাকবে তখন দেখে নেওয়ার মতো হুমকি দেওয়া হয়েছিল অবাঙালি ভোটারদের তাইতো এত কম পোলিং হয়েছে. বেশী মানুষ ভোট দিতে পারলে ফল অন্য রকম হতে পারতো.
তৃণমূল এই অভিযোগ কে উড়িয়ে দিয়েছে. তারা বরং উল্টো অভিযোগ করেছে, ভাবানীপুরের মানুষ বিজেপির কুৎসার জবাব দিয়েছে ব্যালট পেপারে. তাইতো রেকর্ড মার্জিনে জয়.
Comments
Post a Comment