শুভকল্যাণ বিশ্বাস, স্বচ্ছ বার্তা -ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাস বড় নির্মম নিষ্ঠুর. যাদের বলিদানে ভারত সেদিন স্বাধীন হয়েছিল তারা আজ ইতিহাস থেকে বঞ্চিত, যারা ভারত ভাগ চেয়েছিল তারাই ভারতে বন্দিত এবং ইতিহাসে তার নাম জ্বলজ্বল করছে.
ভুল ভাবে ইতিহাস তাদেরকে হিরো বানিয়ে শাসকের কথায় ইতিহাস লিখেছিলেন. ভারতের স্বাধীনতা ইতিহাসের প্রাপ্তির ঘটনার পূর্বের আরও কয়েকটি বছর ঘাটলে দেখা যাবে ভারত স্বাধীনতাতা লাভ করেছিল নিজের দেশকে দুই টুকরো করে. আর ভারতকে দ্বিখন্ডিত করার মূল কারিগর ছিল মুসলিম লীগ ও কংগ্রেস.যারা সেদিন ভারত ভাগ চেয়েছিল তাঁদের কাছে প্ৰিয় ছিলেন গান্ধীজি সহ তার অনুগামীরা.
যেদিন থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু কংগ্রেস ত্যাগ করেছিলেন তারপর থেকেই গান্ধীজী সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছিলেন কংগ্রেসের.
তখনকার দিনের ইতিহাসবিদ এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বই থেকে জানতে পারা যায় বিভিন্ন ঘটনা. যা সাধারণ মানুষকে জানতে দেওয়া হয়নি.
কিছু ঘটনা কোনোদিন জানতে পারেননি সাধারণ মানুষ.ইতিহাস বই থেকে যেটা জানা গেছে সেটাই সত্য হিসাবে মেনে নিয়েছে সাধারণ মানুষ.
স্বাধীনতা লাভের 7 বছর আগেকার একটি ঘটনা থেকেই ভারত ভাগের সূত্রপাত হয়.
1940 সালে মার্চ মাসে লাহোর অধিবেশন বসে. ঐ বছরের মার্চ মাসে কংগ্রেস এর রামগড় অধিবেশন বসে এবং এই অধিবেশন থেকেই ঘোষণা করা হয় ডোমিনিয়নের মর্যাদা চায়না কংগ্রেস. তারা চায় পূর্ণ স্বাধীনতা.কিন্তু মুসলিম লিগ আলাদা পাকিস্তান দাবী করে বসে.
ভারতীয়রা ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে যে সশস্ত্র আন্দোলন করেছিল সেই আন্দোলনের কন্ট্রোলিং চলে যায় ইংরেজ সরকারের হাতে. কিন্তু এটা একমাত্র উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু. তিনি বুঝতে পেরেছিলেন ভারতীয়দের স্বাধীনতা আন্দোলনকে ভেতর থেকে কন্ট্রোলিং করতো ইংরেজ সরকার. এবং সেটা করতো একজন ভারতীয় নেতৃত্বের মাধ্যমে. তিনি বুজতে পেরেও প্রকাশ্যে কোনো দিন সে কথা বলেননি. তারপরে অনেক যন্ত্রণা নিয়ে সেদিন কংগ্রেস ত্যাগ করেছিলেন তিনি.আর একটা কথা বলা খুবই প্রয়োজন.
নাথুরাম ছিলেন গান্ধীজির পোষ্যপুত্র. তিনি ছিলেন গান্ধীজীর সর্বক্ষণের ছায়াসঙ্গী. নাথুরাম গডসের সাথে যতটা গভীর সম্পর্ক ছিল আরএসএস এর তার থেকে অনেক বেশি সম্পর্ক ছিল গান্ধীজীর.RSS এর সাথে গান্ধীজি নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন.কিন্তু ইতিহাস বলছে উল্টো কথা. গান্ধীজির কারণেই নাথুরাম গডসের সঙ্গে RSS এর সম্পর্ক গভীর ভাবে তৈরি হয়.তিনি নিয়মিত শাখায় যেতেন বলে জানা যায়. গান্ধীজিকে যেদিন হত্যা করা হয় সেদিন কেন গান্ধীজির সাথে নিরাপত্তা বলয় ছিলো না. তার কারন হত্যার আগে দুই বার গান্ধীজির উপর আক্রমণ হয়েছিল. তার কেন তদন্ত হয়নি. কেন গান্ধীজীর নিরাপত্তা ছিলো না এই ঘটনার পরেও . যে বন্দুক দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল সেটা ছিলো তখনকার দিনে আধুনিক. এই সব প্রশ্ন সাধারণ মানুষ জানতে পারছে ধীরে ধীরে.
যেদিন গান্ধীজিকে হত্যা করা হয় সেই রাতে গান্ধীজি একটি রুদ্ধদার বৈঠক করেছিল. সেই বৈঠকের বিষয়বস্তু জেনে ফেলেছিলেন নাথুরাম. যখন ভারত ভাগ হয়নি তখন একবার নাথুরাম গান্ধীজিকে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি ভারত ভাগ চান কিনা. নাথুরাম এর প্রশ্নের উত্তরে গান্ধীজী বলেছিলেন, ভারত ভাগ হলে আমার মৃত দেহের উপর দিয়ে ভাগ হবে.তারপরেও ভারত ভাগ হয়েছিল. সেটা মন থেকে মানতে পারেনি নাথুরাম গডসে. শোনা যায় তারপর একটা নীল নকশা তৈরী করেছিলেন গান্ধীজি. সেটা ছিলো পূর্ব পাকিস্তানের ভেতর দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তান পর্যন্ত একটা সুদীর্ঘ একটি রাস্তা তৈরি করা হবে. এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ভারতের অনেক ক্ষতি হতো. সেটা মন থেকে মানতে পারেনি নাথুরাম গডসে. আদালতে বিচারকের সামনে নাথুরাম গডসের যে জবানবন্দি দিয়েছিল গান্ধী হত্যা নিয়ে সেটা কখনো সার্বজনীনভাবে প্রচার করা হয়নি.
লাহোর অধিবেশনের মূল প্রস্তাব ছিলো পাকিস্তানের দাবী. মহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করেন যে ভারতের মুসলমান সম্প্রদায় সংখ্যালঘু নয় তারা একটা আলাদা জাতি এবং এই কারণে তাদের দাবী হল আলাদা রাষ্ট্র গঠন.
সেই সময় মুসলিম লিগ একটি স্লোগান তুলেছিল, সেটা ছিলো -´ ইসলাম বিপন্ন, এই স্লোগান. তার কারন ছিলো গান্ধীজি ও সংরক্ষণপন্থী কংগ্রেসীদের কার্যকলাপ ও কর্মসূচি মুসলমান জনগনকে আকর্ষণ করতে পারেনি.
এই কারণে গান্ধীজী একবার বলেছিলেন ভারত স্বাধীনতা লাভের পর এই কংগ্রেস দলকে আর রাখা যাবে না. ক্ষমতালোভী যে সমস্ত কংগ্রেস নেতৃত্ব সেইসময় কংগ্রেস দলে ছিল তারা সেই সময় গান্ধীজীর এই প্রস্তাবকে কোনভাবেই সমর্থন করেননি. স্বাধীনতা লাভের এক বছরের মধ্যে গান্ধীজীর মৃত্যু এবং তার আগে দুইবার হামলাও হয়েছিল তার উপরে.
এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছে আজও সাধারণ মানুষ.তাইতো কিছু মানুষের চোখে নাথুরাম প্রকৃত দেশ প্রেমিক. যাকে মানুষ দেশের প্রকৃত হিরো মানতেন সেই নেতাজীর মৃত্যুর সঠিক ঘটনা আজও অধরা. এক ব্রিটিশ ঐতিহাসিক তিনি একটি বই এ লিখেছিলেন কংগ্রেস দল তৈরী হয়েছিল ব্রিটিশদের ইচ্ছায়. ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারা সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়েছিল. আদিবাসী, কৃষক, শ্রমিক, শিশু বুড়ো সকলেই স্বাধীনতার জন্যে আন্দোলনে সামিল হয়েছিল. যে আন্দোলন কে সামাল দিতে ব্রিটিশ প্রশাসন হিমশিম খাচ্ছিল. তখন ব্রিটিশ কংগ্রেস নামক দল তৈরি করে সেই দলের মাধ্যমে ভারতীয়দের আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছিল ব্রিটিশ সরকার. এই তথ্য পাওয়া যায় ব্রিটিশ ঐতিহাসিকদের বই থেকে.
ধীরে ধীরে আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারছে মানুষ. সেইসময় কাদের অবদান বেশি ছিল এবং কম ছিল আজ সেটা জলের মত পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে ভারতের মানুষের সামনে. যেদিন গান্ধীজিকে হত্যা করা হয় তার রাতে গান্ধীজি একটি রুদ্ধদার বৈঠক করেছিল. সেই বৈঠকের বিষয়বস্তু জেনে ফেলেছিলেন নাথুরাম. যখন ভারত ভাগ হয়নি তখন একবার নাথুরাম গান্ধীজিকে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি ভারত ভাগ চান কিনা. নাথুরাম এর প্রশ্নের উত্তরে গান্ধীজী বলেছিলেন, ভারত ভাগ হলে আমার মৃত দেহের উপর দিয়ে ভাগ হবে.তারপরেও ভারত ভাগ হয়েছিল. সেটা মন থেকে মানতে পারেনি নাথুরাম গডসে. শোনা যায় তারপর একটা নীল নকশা তৈরী করেছিলেন গান্ধীজি. সেটা ছিলো পূর্ব পাকিস্তানের ভেতর দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তান পর্যন্ত একটা সুদীর্ঘ একটি রাস্তা তৈরি করা হবে. এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ভারতের অনেক ক্ষতি হতো. সেটা মন থেকে মানতে পারেনি নাথুরাম গডসে. আদালতে বিচারকের সামনে নাথুরাম গডসের যে জবানবন্দি দিয়েছিল গান্ধী হত্যা নিয়ে সেটা কখনো সার্বজনীনভাবে প্রচার করা হয়নি. লাহোর অধিবেশনের মূল প্রস্তাব ছিলো পাকিস্তানের দাবী. মহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঘোষণা করেন যে ভারতের মুসলমান সম্প্রদায় সংখ্যালঘু নয় তারা একটা আলাদা জাতি এবং এই কারণে তাদের দাবী হল আলাদা রাষ্ট্র গঠন.
সেই সময় মুসলিম লিগ একটি স্লোগান তুলেছিল, সেটা ছিলো -´ ইসলাম বিপন্ন, এই স্লোগান. তার কারন ছিলো গান্ধীজি ও সংরক্ষণপন্থী কংগ্রেসীদের কার্যকলাপ ও কর্মসূচি মুসলমান জনগনকে আকর্ষণ করতে পারেনি.
এই কারণে গান্ধীজী একবার বলেছিলেন ভারত স্বাধীনতা লাভের পর এই কংগ্রেস দলকে আর রাখা যাবে না. ক্ষমতালোভী যে সমস্ত কংগ্রেস নেতৃত্ব সেইসময় কংগ্রেস দলে ছিল তারা সেই সময় গান্ধীজীর এই প্রস্তাবকে কোনভাবেই সমর্থন করেননি. স্বাধীনতা লাভের এক বছরের মধ্যে গান্ধীজীর মৃত্যু এবং তার আগে দুইবার হামলাও হয়েছিল তার উপরে.
এইসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছে আজও সাধারণ মানুষ.তাইতো কিছু মানুষের চোখে নাথুরাম প্রকৃত দেশ প্রেমিক. যাকে মানুষ দেশের প্রকৃত হিরো মানতেন সেই নেতাজীর মৃত্যুর সঠিক ঘটনা আজও অধরা. এক ব্রিটিশ ঐতিহাসিক তিনি একটি বই এ লিখেছিলেন কংগ্রেস দল তৈরী হয়েছিল ব্রিটিশদের ইচ্ছায়. ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারা সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়েছিল. আদিবাসী, কৃষক, শ্রমিক, শিশু বুড়ো সকলেই স্বাধীনতার জন্যে আন্দোলনে সামিল হয়েছিল. যে আন্দোলন কে সামাল দিতে ব্রিটিশ প্রশাসন হিমশিম খাচ্ছিল. তখন ব্রিটিশ কংগ্রেস নামক দল তৈরি করে সেই দলের মাধ্যমে ভারতীয়দের আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছিল ব্রিটিশ সরকার. এই তথ্য পাওয়া যায় ব্রিটিশ ঐতিহাসিকদের বই থেকে.
ধীরে ধীরে আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারছে মানুষ. সেইসময় কাদের অবদান বেশি ছিল এবং কম ছিল আজ সেটা জলের মত পরিস্কার হয়ে যাচ্ছে ভারতের মানুষের সামনে. তাইতো সাধারণ মানুষের চিন্তা-ভাবনা পরিবর্তন হচ্ছে ধীরে ধীরে. দেশ প্রেমিক দেশদ্রোহী তে পরিণত হচ্ছে সাধারণ মানুষের চোখে .
Comments
Post a Comment