শুভ্রজ্যোতি সাহা, স্বচ্ছ বার্তা, বাংলাদেশ - দেবী পক্ষের সূচনাতে মহালয়ার দিন জামাত পন্থীরা একটি গোপন বৈঠকে রণকৌশল করে দূর্গা পূজার মধ্যেই হিন্দুদের মঠ-মন্দির সব ভেঙে ফেলা হবে.
বৈঠকে ঠিক হয় দুর্গাপুজোর শুরুতেই কোন এক মন্দিরে কোরান শরীফ রেখে আসা হবে হনুমানের পায়ের নিচে. কোরান শরীফ মন্দিরে কেন রাখা হয়েছে এই অজুহাতে গন্ডগোলের পরিবেশ প্রথমে তৈরি করতে হবে তারপর সেই গন্ডগোল সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে.
জামায়াত পন্থীরা প্রি প্লান করেই এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছিল.
এদের মূল উদ্দেশ্য ছিল হিন্দুদের মঠ মন্দিরগুলো ধ্বংস করা.
রক্তাক্ত বাংলাদেশের শারদ উৎসব এর কিছু চিত্র তুলে ধরা হোলো -
(১৪/১০/২০২১ রোজ : বৃহস্পতিবার ) (১৫/১০/২০২১ রোজ : শুক্রবার ) মাত্র ২ দিন বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর হামলার কিছু নমুনা :
১. কুমিল্লার নানুয়া দীঘিরপাড়। ( তারপর কুমিল্লার কথা না বলাই ভালো )
২.চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১৫ টি পূজা মণ্ডপে হামলা।
৩.গাজীপুরে পূজা মণ্ডপে হামলা ।
৪.মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে দুটি মণ্ডপের মূর্তি ও প্যান্ডেল এবং পাঁচটি মণ্ডপের গেট ভাঙচুর ।
৫.কুলাউড়া মণ্ডপে হামলা।
৬.লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে পূজা মণ্ডপে হামলা ।
৭.কুড়িগ্রামের উলিপুর: তিন ইউনিয়নের সাত মন্দিরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ ।
৮.কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া: ৪ টি ইউনিয়নে ২০০+ হিন্দু পরিবারের উপর হামলা।
৯.বান্দরবানের লামা হরি মন্দির হামলা , ভাংচুর ,লুটপাট ।
১০.সিলেটের জকিগঞ্জে পূজামণ্ডপে হামলা
১১.চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পূজামণ্ডপে হামলা
১২. চাঁদপুর রামকৃষ্ণ মিশন ।
১৩.নোয়াখালী ইসকন মন্দিরে হামলা ( ২ জন সাধুকে হত্যা )
১৪. রামঠাকুরের আশ্রম , চৌমুহুনী , নোয়াখালী। ( যেখানে ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার রাও হামলা করেনি )
১৫. চট্টগ্রামের জে. এম হল ( যাত্রা মোহন হল ) মণ্ডপে হামলা ।
১৬. কুমিল্লা সদরের কালীবাড়িতে ।
১৬.চকবাজার থানার অধীন করুনাময়ী কালীমন্দিরে ।
১৭. ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে , হামলার চেষ্টা ও নসাৎ ।
১৮. খুলনার রূপসায় মহাশ্মশান ঘাটের প্রবেশদ্বার থেকে ১৮ টি বোমা উদ্ধার ।
এছাড়াও নোয়াখালীতে : ত্রিশূল , মঙ্গলা , নবদূর্গা , বিজয়া প্যান্ডেল, কোটবাড়ি মন্দির সম্পূর্ণ আগুনে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। বারগ্রাম, ছয়ানীবাজার ,বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ীতে হিন্দুদের বাড়ি বাড়ি ঢুকে আক্রমণ করা হয়েছে , ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে ।
হত্যা_ধর্ষণ :
১.চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ধর্ষিতা হয়েছেন একই পরিবারের মা, মেয়ে, বোনের মেয়ে। মেয়েটির বয়স দশ বছর।
২.মানিক সাহা (নিহত)-- হাজীগঞ্জ,চাঁদপুর
৩.যতন সাহা (মন্ডপ পুজারী) -- নোয়াখালি
৪. নোয়াখালি ইস্কন মন্দিরের পুরোহিত সাধু নিমাই কৃষ্ণ ও ( নাম না জানা আরেকজন সাধু )
৫. ৩ জন পুরোহিত (নাম জানা যায় নি)-- রাম ঠাকুরের আশ্রম , চৌমুহিনী
৬.রামু সার্বজনীন মন্দির (গত কাল আশঙ্কাজনক একজনের মৃত্যু।
এছাড়াও ঢাকেশ্বরী মন্দিরেও হামলা হতে যাচ্ছিল,পুলিশ ও সম্মিলিত প্রতিরোধে সম্ভব হয় নি।
নোয়াখালী মন্দিরের কোরান শরীফ রেখে যাওয়া সেই দুষ্কৃতী গ্রেফতার হওয়ার পর এই ডাঙ্গা রণকৌশল আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসছে. বিগত ছয় মাস ধরে চলছিল এই দাঙ্গার পরিবেশ তৈরী করার কাজ.
জামাত ইসলামের উপর হাসিনা সরকারের কঠোর মনোভাবের কারনে জামাত প্রতিশোধ নিতে এই রণকৌশল তৈরি করে.
কিছু ইসলাম ধর্ম গুরুর নির্দেশে সু সংঘটিত ভাবে এই দাঙ্গার রূপ দেওয়া হয়েছে. ভারতের উপরে জামাতের ক্রোধ ও হাসিনা সরকারের উপরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্যই এই দাঙ্গা.
হাসিনা সরকারেরএক ক্যাবিনেট মন্ত্রী কিছুদিন আগে বলেছিলেন, বাংলাদেশে ইসলাম রাষ্ট্রীয় ধর্ম হতে পারে না.আমাদের সরকার বাংলাদেশের সংবিধান কে ধর্মগ্রন্থ মানে. শেখ মুজিবুর রহমান যে সংবিধান রচনা করেছিলেন সেই সংবিধানে আগামী দিনে বাংলাদেশকে পথ দেখাবে. বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ.
এই বিবৃতি দেওয়ার পরে ইসলাম ধর্ম গুরুরা এই ফতোয়া মানতে চায়নি. তারা হিন্দুদের কে বাংলা দেশে থাকতে দিতে চায় না.
ইসলাম ধর্ম গুরুদের জানা উচিৎ বাংলা দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সব চেয়ে বেশী হিন্ধুরা শহীদ হয়েছিলো. কিন্তু এই চরম সত্য ইসলামের কট্টরপন্থীরা মানতেই চায় না. তাঁদের একটাই উদ্দেশ্য বাংলাদেশে তালিবানি শাসন প্রতিষ্ঠা করা. কট্টরপন্থীরা বর্তমানে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের তালিবানদের ইশারায় চলছে.
Comments
Post a Comment